আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আপনারা ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো এনআইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কে।  আমরা অনেকেই এনআইডি কার্ড করে থাকি কিন্তু কার্ড হাতে আস্তে আস্তে এক বছর থেকে দেড় বছর সময় লেগে যায়।  তাই কার্ডটি সবার আগে অনলাইন কপি পেতে হলে আমাদেরকে অনলাইনে রেজিস্টার করে ডাউনলোড করতে হয়।  কিন্তু এর জন্য আমাদেরকে ফেস স্ক্যান করতে হয়। ফেস স্ক্যান  করা ছাড়া আমরা এনআইডি কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারিনা।  অনেক সময় আমরা অনেকের আইডি কার্ড বের করে দিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখিন হই। তাকে সামনে পাওয়া যায় না তাই তার ফেস স্ক্যান  করা যায় না।  এর ফলে  কাউকে কার্ড  ডাউনলোড করে তাকে দিতে পারি না।  আজকের শিখিয়ে দেব কিভাবে ফেস স্কিন ছাড়াই আপনি এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।  তো চলুন শুরু করা যাক আজকের  মিশন ।

Nid card download without face scan


Nid Card কি:

এনআইডি কার্ড সম্পর্কে আমাদের সকলের এই ধারণা আছে।  এনআইডি কার্ড হল আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র।  আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এবং রাষ্ট্রীয় সকল কাজে আমরা এই কার্ডটি ব্যবহার করে থাকি।  আমাদের বয়স যখন 18 বছর হয়ে যায় তখন আমরা এই কার্ডটি হাতে পাই।  এবং তাতেই আমরা ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে থাকে।  আমরা যে এই দেশের নাগরিক তার একটি প্রমাণ হচ্ছে  এনআইডি কার্ড।  এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা সিম কিনতে পারি। এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা যেকোনো অনলাইনে কাজ করতে পারি। এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা জমি ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি কাজ করতে পারি।  এছাড়াও প্রায় সকল কাজেই আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়।  তাই জাতীয় পরিচয় পত্র কার্ড আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

এনআইডি কার্ড কিভাবে করতে হয় :

বাংলাদেশ সরকার প্রায় প্রতিবছরই এনআইডি কার্ড হালনাগাদ করে থাকেন।  সে সময় আপনি চাইলে খুব সহজেই এনআইডি কার্ড করে নিতে পারেন।  অথবা আপনি চাইলে যেকোন সময়ে এনআইডি কার্ড করতে পারেন।  এর জন্য আপনার অতিরিক্ত  কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। সেই ডকুমেন্টগুলো দিয়ে আপনি অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের আবেদন করতে পারবেন।  আবেদন করার কিছুদিন পর আপনি সেই কার্ড টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অনলাইন থেকে। এবং পরবর্তীতে আপনাকে একটি স্মার্ট কার্ড দিয়ে দেবে।

এনআইডি কার্ড করতে কি কি কাগজপত্র লাগে :

সরকার যখন প্রতিবছর ভোটার তথ্য হালনাগাদ করে তখন যদি আপনি ভোটার হতে চান, তাহলে খুব সহজে হতে পারবেন।  এর জন্য আপনার বেশি কাগজপত্র প্রয়োজন হবেনা খুব অল্প কিছু কাগজ দিয়ে আপনি ভোটার হতে পারবেন।  কাগজগুলোর মধ্যে হল.

আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি
আপনার বাবা মায়ের এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে)
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার কাগজ (যদি থাকে)

এই অল্প কয়েকটি কাগজপত্র দিয়ে আপনি এনআইডি কার্ডের আবেদন করতে পারবেন।  এবং এটা যেহেতু সরকারিভাবে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার কোন খরচ লাগবে না। বিনা খরচে আপনি এই জাতীয় পরিচয় পত্র করে নিতে পারবেন।   আপনি চাইলে অন্য সময়েও ম্যানুয়ালি আবেদন করে এই কাজ করতে পারেন।  এক্ষেত্রে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো সাথে আরো কিছু ডকুমেন্টস এড করতে হতে পারে। এবং সে ক্ষেত্রে কিছু খরচ আসতে পারে।  তো আমার সাজেশন থাকবে যখন সরকারি ভাবে ভোটার তথ্য হালনাগাদ করা হয় তখন করে নেবেন।

কিভাবে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন:

আপনার এনআইডি কার্ড আবেদন করার কয়েকদিন পর আপনি সেটা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশের এনআইডি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে আপনার ফরম নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে  রেজিস্টার করে নিতে হবে। রেজিস্টার করার পর ফেস  স্ক্যান করে আপনার একাউন্টে ঢুকতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে এনআইডি কার্ড টি  প্রিন্ট করে ল্যামিনিটিং  করে আপনি যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। 

এখন আসি যে আপনি যার আইডি কার্ডটি বের করতে চান সে যদি আপনার কাছে না থাকে। তাহলে তার ফেস ভেরিফাই  করা ছাড়াই আপনি কিভাবে আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন ।

ফেস স্ক্যান  ছাড়া এনআইডি কার্ড ডাউনলোড :

এর জন্য প্রথমে আপনাকে তার আইডি কার্ডে ব্যবহৃত ছবিটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। 
ছবি ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আমরা  https://ldtax.gov.bd/citizen/register এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করব। 

Nid details check


ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর এখানে আমরা আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্ম তারিখটি দিয়ে যাচাই করব। 
যাচাই করলে এখানে আইডি কার্ডে ব্যবহৃত ছবিটি দেখাবে এবং তথ্য গুলো দেখাবে।
আমরা এখান থেকে ছবিটি ডাউনলোড করে নেবো।

তারপর আমরা অন্য একটি মোবাইলের সাহায্য নেব।
  সেই মোবাইলে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করব।
  apps link:
  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.itseez3d.avatarsdk.showcase

Avatar sdk showcase


 
অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর এনআইডি কার্ডের যে ছবিটি ডাউনলোড করেছিলাম সেটি ওই অ্যাপস এর মধ্যে দিবো।

Nid card download without face scan


   এই ছবিটি অ্যাপস এর  মধ্যে দেওয়ার পর  ছবিটি একটা মানুষের আকার নিয়ে নেবে। এখন আমরা এই ছবিটি দিয়েই ফেস  স্ক্যান করে নেব। 
   

আরো দেখুনঃ 

রবি ২ জিবি ১৬ টাকা মেয়াদ ১৫ দিন বেস্ট অফার ২০২২

Retina Question Bank 2023 Pdf Download


এবার আগের মতো বাংলাদেশের এনআইডি সার্ভিস ওয়েবসাইটে ঢুকে রেজিস্টার করে ফেস স্ক্যান করার সময় অন্য মোবাইলের ছবিটি এই মোবাইলের  সামনে ধরব। ছবিটি উভয় পাশে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ফেস স্ক্যান  করে নেব।  এভাবে ফেস স্ক্যান  করার পর পাসওয়ার্ড সেট আপ করে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করব। একাউন্টে প্রবেশ করার পর অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নেবো। এবং পরবর্তীতে সেটি প্রিন্ট করে নিবো। এভাবেই আপনি কারো ফেস স্ক্যান  করা ছাড়াই তার আইডি কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারবেন। 

আমাদের আজকের এই পোস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই মতামত শেয়ার করবেন। আপনাদের যদি এরকম নতুন নতুন টিপস এন্ড ট্রিকস লাগে আমাদেরকে জানাবেন আমরা নতুন নতুন তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আপনারা  ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর আমাদের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ। 

Post a Comment

Previous Post Next Post